প্রতিদিন গোলমরিচ সেবন শরীরের ওপর বিভিন্ন ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এখানে গোলমরিচ এর বেশকিছু  প্রভাবগুলো তুলে ধরা হলো।

গোলমরিচে থাকা পাইপারিন উপাদান হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের নিঃসরণ বাড়িয়ে হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও পেট ফাঁপা দূর করতে সহায়ক।

গোলমরিচ শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। এতে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ফ্যাট কোষগুলো ভাঙতে সহায়ক, ফলে ওজন কমাতে এটি কার্যকর।

গোলমরিচের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে।

গোলমরিচ সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা কমাতে সহায়ক। মধুর সঙ্গে গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।

গোলমরিচে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে, যা শরীরের প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে সহায়ক।

গোলমরিচে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের পিগমেন্টেশন ও অ্যাকনে দূর করতে সহায়ক। স্ক্রাবার হিসেবে এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

গোলমরিচে থাকা পিপেরিন উপাদান ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে।

গোলমরিচে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

গোলমরিচে থাকা পাইপারিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়ক এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে।

গোলমরিচ ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।

তবে, অতিরিক্ত গোলমরিচ সেবন থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ এটি শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে ঘাম বৃদ্ধি করতে পারে। পরিমিত পরিমাণে সেবন শরীরের জন্য উপকারী।