ঢাকা শহরের ৫৮.৮% মোটরবাইকচালক কোমর ব্যথায় ভুগছেন। এই সমস্যা প্রতিরোধে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
বাইক চালানোর সময় সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা জরুরি। পিঠ সোজা রেখে, কাঁধ আরামদায়ক অবস্থানে এবং হাত ও পায়ের অবস্থান সঠিকভাবে স্থাপন করা উচিত।
দীর্ঘ সময় ধরে বাইক চালালে প্রতি ৩০-৪৫ মিনিট পর পর বিরতি নিয়ে শরীরকে প্রসারিত করা প্রয়োজন, যা পেশির ক্লান্তি কমাতে সহায়তা করে।
আরামদায়ক ও মানসম্মত সিট কুশন ব্যবহার করলে কোমরের উপর চাপ কমে এবং ব্যথা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
প্রতিদিন কিছু সময় শারীরিক ব্যায়াম, বিশেষ করে কোমরের পেশি শক্তিশালী করার ব্যায়াম করা উচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম থেকে বিরত থাকেন, তাদের মধ্যে ৬২.৩% কোমর ব্যথায় ভুগছেন।
মোটরসাইকেল চালানোর সময় সেফটি গার্ড ব্যবহার করা উচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সেফ গার্ড ব্যবহার করেন না, তাদের ৬৫.৩% কোমর ব্যথায় ভুগছেন।
তামাক সেবনকারীদের মধ্যে কোমর ব্যথার প্রবণতা বেশি, যা প্রায় ৭০%। তাই তামাকজাতীয় দ্রব্য পরিহার করা উচিত।
সপ্তাহে অন্তত এক দিন বিশ্রাম নেওয়া এবং দিনে মাত্রাতিরিক্ত বাইক চালানো থেকে বিরত থাকা উচিত। যারা সপ্তাহে সাত দিন মোটরবাইক সার্ভিস দিচ্ছেন, তাদের মধ্যে ৭১% কোমর ব্যথায় ভুগছেন।
উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে কোমর ব্যথার প্রবণতা বেশি। তাই এই রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
যারা পুরনো বাইক ব্যবহার করেন, তাদের কোমর ব্যথার ঝুঁকি বেশি। তাই সম্ভব হলে নতুন বা ভালো অবস্থায় থাকা বাইক ব্যবহার করা উচিত।
কোমর ব্যথা দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।