শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (SUST) বাংলাদেশের একটি অন্যতম বিখ্যাত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সিলেট শহরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি সিলেটের সবুজ পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে অবস্থিত। বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই ক্যাম্পাসে রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক ভবন, লাইব্রেরি, গবেষণাগার এবং খেলার মাঠ।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ক্রেডিট সিস্টেম চালু করে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আধুনিক ও নমনীয় শিক্ষা পদ্ধতি। এই ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের নিজস্ব গতি অনুযায়ী পাঠক্রম সম্পন্ন করার সুযোগ দেয়।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়- বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে (SUST) অনলাইন অ্যাডমিশন সিস্টেম চালু করে। এটি ভর্তি প্রক্রিয়াকে সহজ, সাশ্রয়ী এবং আরও কার্যকর করে তুলেছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়- শিক্ষাক্ষেত্রে গবেষণার জন্য বিখ্যাত। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পাশাপাশি সামাজিক বিজ্ঞান এবং মানবিক বিভাগেও উল্লেখযোগ্য গবেষণা পরিচালিত হয়।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদ রয়েছে, যেমন বিজ্ঞান, প্রকৌশল, ব্যবসা প্রশাসন, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক বিষয়। প্রতিটি বিভাগেই দক্ষ শিক্ষক ও গবেষকরা শিক্ষা প্রদান করেন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে নিরলসভাবে কাজ করে। এখানকার শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটি মেল্টিং পট যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়। এখানে বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা জীবন উপভোগ করে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আধুনিক গবেষণাগার, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, খেলাধুলার সুযোগ, এবং আবাসিক হল। এছাড়া বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে যুক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান আরও উন্নত করতে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে কাজ করছে। ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয় আরও গবেষণা ও উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়ার আশা রাখে।