দাঁত ক্ষয় বা ডেন্টাল ক্যারিজ একটি সাধারণ সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণে ঘটে থাকে।
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস না করার ফলে দাঁতে প্লাক জমে, যা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে। এই ব্যাকটেরিয়া দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে গহ্বর সৃষ্টি করতে পারে।
মিষ্টি ও শর্করা সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ক্যান্ডি, কেক, এবং কোমল পানীয়, মুখের ব্যাকটেরিয়ার সাথে মিশে অ্যাসিড তৈরি করে, যা দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে।
ফ্লোরাইড দাঁতের এনামেলকে শক্তিশালী করে এবং ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে। ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট বা পানীয় জল ব্যবহার না করলে দাঁত ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ে।
লালা মুখের অ্যাসিড নিরপেক্ষ করতে এবং খাবারের কণা ধুয়ে ফেলতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত লালা উৎপাদন না হলে দাঁত ক্ষয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
লেবু, টমেটো, এবং সফট ড্রিঙ্কসের মতো অ্যাসিডিক খাবার ও পানীয় দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে, যা দাঁত ক্ষয়ের কারণ হতে পারে।
কলম, বোতলের ঢাকনা বা নখ কামড়ানোর অভ্যাস দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে এবং দাঁত ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ায়।
পান, সুপারি, জর্দা ইত্যাদি সেবনের ফলে দাঁতে দাগ পড়ে এবং এনামেল ক্ষয় হয়, যা দাঁত ক্ষয়ের কারণ হতে পারে।
নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ না করালে প্রাথমিক অবস্থায় দাঁত ক্ষয় শনাক্ত করা যায় না, ফলে সমস্যা বাড়তে পারে।
কঠিন ব্রাশ বা শক্তভাবে ব্রাশ করার ফলে এনামেল ক্ষয় হতে পারে, যা দাঁত ক্ষয়ের কারণ হতে পারে।
কিছু মানুষের দাঁতের গঠন বা লালার গুণগত মান জেনেটিক কারণে এমন হতে পারে, যা দাঁত ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ায়।